উদেশ্য: ১৯৭৬ সালে গ্রাম আদালত অধ্যাদেশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষ্যদগুলোকে বিচার সাম্পাদনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিচার পদ্ধতির সান্তিপূণ নিস্পত্তি ও বিচারকায ব্যাবস্থা সহজ করার উদ্দেশ্যে গ্রাম আদালত সৃস্টি করা হয়েছে।
গ্রাম আদালতঃগ্রাম আদালত হচ্ছে আই দ্বারা স্বীকৃত বিচারিক ব্যবস্থার সর্বনিমণ ধাপ যেখানে ছোট-খাটো দেওয়ানি ও ফৌজদারি সমস্যার বিচার করা হয়।
গ্রাম আদালত কোথায় গঠিত হবেঃএকজন চেয়ারম্যান এবং উভয়পক্ষ কর্তৃক মনোনীত দু’জন করে মোট পাঁচজন সদস্য নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত গঠিত হবে।াবালক ও নারী স্বার্থ জরিত থাকলে সংশিস্নষ্ট পক্ষ সদস্য হিসেবে একজনারীকে মনোনীত করবেন।
গ্রাম আদালত কোথায় বসবেঃযে ইউনিয়নে মামলার কারণ উদ্ভব হয়েছে অথবা অপরাধ সংগঠিত হয়েছে সে ইউনিয়নেই গ্রাম আদালত গঠিত হবে।
গ্রাম আদালতের ক্ষমতাঃ গ্রাম আদালত দেওয়ানি ও ফৌজাদারি অপরাধসমূহের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তিকে কেবলমাত্র অধিক পঁচাত্তর হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ এবং চুরির ক্ষেত্রে অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ প্রদান করতে পারবে।
মামলা দায়েরের সময়সীমাঃ ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে মামলা অপরাধ সংগঠিত হবার ৩০ দিরে মধ্যে এবং দেওয়ানি মামলার ক্ষেত্রে ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে সংশিস্নষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নিকট আবেদন করতে হবে।
প্রাক বিচারঃ
· গ্রাম আদালত গঠিত হবার অনধিক ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে গ্রাম আদালতের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত অধিবেশনে গ্রাম আদালত উভয় পক্ষের শুনানি করে মামলার বিচার্য বিষয় নির্ধারণ করবে এবং পক্ষগণের মধ্যে আপোষ বা মীমাংসার মাধ্যমে বিচার্য বিষয় নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
· আপোষ বা মীমাংসার মাধ্যমে বিচার্য ষিয় নির্ধারণ করা হলে তা উদ্যোগ গ্রহণের তারিখ হতে ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে।
মামলা নিষ্পত্তির সময়সীমাঃ
· শুনানির কার্যক্রম শুরম্ন হবার অনধিক ৯০ (নববই) দিরে মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে হবে।
· উক্ত সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব না হলে গ্রাম আদালত কারণ লিপিবদ্ধ করে পরবর্তী ৩০ দিনের মামলাটি নিষ্পত্তি করতে হবে।
· উলেস্নখিত সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব ননা হলে উক্ত মেয়াদ শেষে গ্রাম আদালত স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
আইনজীবী নিয়োগ নিষিদ্ধঃ গ্রাম আদালতে দায়েরকৃত কোনো মামলা পরিচালনার জন্য কোনো পক্ষ কোনো আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে না।
গ্রাম আদালতের সিদ্ধামত্ম কিভাবে ঘোষণা করতে হবেঃ প্রকাশ্যে ঘোষণা করতে হবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস